বানারীপাড়া প্রতিবেদক ॥ বানারীপাড়ায় কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যার রহস্যের জট খুলছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে কিশোরীকে খালে ডুবিয়ে দেওয়ার কারণ উদঘাটন করেছে তারা। নিজের দুই ছেলেকে বাঁচাতেই কিশোরীর পায়ে রশি বেধে খালের পানিতে ডুবিয়ে গুম করে দেয় তাদের বাবা।
বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘাতকের দেয়া স্বীকারক্তির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বুধবার সকালে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সিদ্দিক মীর আউয়ার খালে আয়শার লাশ জালে সাথে পেচানো অবস্থায় দেখতে পায়। এ কারণে সে ধারনা করেছি হয়তো তার ছেলেরা কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। তাই পরবর্তীতে ছেলেদের বাঁচাতে কিশোরীর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পায়ে বালতি ও মেয়েটির পড়নে থাকা ফ্রকের ভিতরে ইট ঢুকিয়ে খালের পানিতে ডুবিয়ে দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘আপাতত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এতোটুকু জানা গেছে। অধিকতর তদন্তের সার্থে আটককৃতদের আরোভালো ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাছাড়া এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার বাজার সংলগ্নের বাসিন্দা দুলাল লাহারীর মেয়ে ও আউয়ার দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তার (১৩)। এরপর বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খাল থেকে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একই পরিবারের চারজন অর্থাৎ সিদ্দিক মীর, তার স্ত্রী হনুফা বেগম, ছেলে সাব্বির ও সাঈদকে আটক করে। তাদের স্বীকারক্তি অনুযায়ী ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply